স্ত্রীর কাছে উত্তম ব্যক্তিই ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বোত্তম!

ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে প্রত্যেক মানুষের অধিকারের গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। নারী জাতিকেও মূল্যায়ন করেছে ইসলাম। বিভিন্ন পর্যায়ে নারী জাতিকে বিভিন্ন সম্মাননা ও অধিকার প্রদান করেছে। নারী জাতির মূল্যায়নকে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে ইসলাম।
স্ত্রীর সঙ্গে খুব উদারতাপূর্ণ ব্যবহার করা চাই। কারণ সে নিজের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন পরিত্যাগ করে শুধু মহব্বত ও ভালোবাসার টানে আমার কাছে আসে। আমি যদি তার স্থলে হতাম, তবে আমি তার কাছ থেকে কেমন ব্যবহার আশা করতাম। স্ত্রী নিজের জন্মস্থান পিত্রালয় ছেড়ে শুধু স্বামীর ভালোবাসায় তার সঙ্গে চলে আসে। এ জন্য সে মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। সুতরাং স্ত্রীর সঙ্গে মনভোলানো ভালো ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক স্বামীই তার সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ করে। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রীকে নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে-এমন ঘটনাও কম নয়।

হাদিসে রাসুল [সা.] ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। ইসলামে স্ত্রীর কাছে ভালো হওয়াকেই স্বামীর ভালো হওয়ার মাপকাঠি বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা স্ত্রীর হক ঠিক মতো আদায় করছি না। তার মোহরানা আদায় করছি না। যথাযথ ভরণ-পোষণের প্রতি খেয়াল করি না। স্ত্রীর দুনিয়ার হকগুলো আদায় করি না। আখেরাতের হকও আদায় করি না। দুনিয়ার হক যেমন, লেখাপড়া না জানলে লেখাপড়া শিক্ষা দেয়া, আখেরাতের হক হচ্ছে, নামাজ পড়া না জানলে নামাজ শিক্ষা দেয়া। মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে কিছু কিছু টাকা-পয়সা দেয়া উচিত। যাতে সে মন খোলাভাবে নিজ আÍীয়স্বজন বা গরিব মিসকিনকে দান করতে পারে কিংবা ব্যক্তিগত কাজের ব্যাপারে খরচ করতে পারে। নবিজির বলা এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটি আমাদের সব স্বামীদের মনে রাখা উচিত প্রত্যেক স্বামীকে মনে রাখা উচিত স্ত্রীর মূল্যায়ন তার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নবিজি [সা.]-এর এই অমিয় বাণীর দ্বারাই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, ইসলাম নারী জাতিকে কতটা গুরুত্ব প্রদান করেছে। একজন স্বামী তথা একজন পুরুষের ভালো বা উত্তম হওয়ার মূল্যায়নকারী বানিয়েছে তাদের। সব স্বামীর উচিত তার স্ত্রীর কাছ থেকে ভালো মূল্যায়নের দিকটি অর্জন করা।