ইসলামে সব ধরনের খারাপ কাজ করা নিষেধ

ইসলাম মানব সমাজকে সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেছে। ভালো কাজ করতে এবং ভালোর প্রতি উৎসাহ প্রদান করতে আদেশ করেছে। ইসলাম একজন মানুষের জীবনে যেসব কাজকে খারাপ-নিন্দনীয় আখ্যা দিয়েছে, হত্যা বা হত্যার ষড়যন্ত্র এর মধ্যে অন্যতম। ইসলাম এই কাজটিকে কবিরা গুনাহ বলে নিন্দা করেছে। ষড়যন্ত্র ও অনর্থক হত্যাকাণ্ড পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে বারবার বিপর্যয় ডেকে এনেছে। প্রতিটি মুমিন মুসলমানের উচিত ষড়যন্ত্র ও অপচর্চা থেকে দূরে থাকা। রাসুল [সা.] বলেছেন, কোনো মুসলমানের হত্যাকাণ্ড আল্লাহর কাছে সারা দুনিয়া ধ্বংসের চেয়েও অধিক মারাত্মক। তিনি আরো বলেছেন, আল্লাহর সঙ্গে কারো শরিক করা ও মানুষ হত্যা হলো জঘন্য কবিরা গুনাহ। পবিত্র কোরানে সুরা আন-নিসার ৯৩ নং আয়াতে মহান প্রভু আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, যে লোক ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বিশ্বাসী মুমিনকে খুন করবে, তার পরিণাম হবে চিরকালীন দোজখ। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হন, তাকে অভিশাপ দেন এবং তার জন্য ভয়ংকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।

সুরা আল মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আল্লাহপাক আরো ঘোষণা করেন, যে কেউ কোনো হত্যার বিনিময়ে অথবা পৃথিবীতে গোলযোগ সৃষ্টি করার অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন সমগ্র মানবকুলকে হত্যা করল, আর যে কারো জীবন বাঁচাল সে যেন সমগ্র মানবকুলের জীবন বাঁচাল। সুরা আল ফুরকানের ৬৮-৭০ আয়াতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অপর কোনো প্রভুকে আহ্বান করে না, আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ প্রাণকে যথার্থ কারণ ছাড়া হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না [আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই]। আর যারা এসব করে, তারা মহাপাপী। বিচার দিবসে তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেথায় তারা অপমানিত হয়ে চিরকাল অবস্থান করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নেক আমল করবে তারা ওই আজাব থেকে পরিত্রাণ পাবে। যারা হত্যা এবং হত্যার ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় তাদের পরিণাম সম্পর্কে পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করেন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পরিণাম কখনো ভালো হয় না। তারা সত্যিকার অর্থেই অভিশপ্ত। তাদের পরিণতি দেখলে স্পষ্ট হয় আল্লাহর বিধান কতটা অলঙ্ঘনীয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে খারাপ পথ পরিত্যাগ করে শান্তি ও কল্যাণের পথে চলার তওফিক দিন।