ইসলামের দৃষ্টিতে দান ও বদান্যতা

ইসলাম মানুষকে ভালো কাজ করার এবং ভালো কাজের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেছে। একজন মানুষের মাঝে বেশি থেকে বেশি পরিমাণে ভালো গুণ ও উন্নত চারিত্রিক গুণাবলীর সম্মিলন ঘটানোর নির্দেশ প্রদান করেছে ইসলাম। ইসলামের নবি হজরত মোহাম্মদ [সা.]-কে ভালো গুণ ও ভালো আখলাকের আদর্শ পুরুষ হিসেবে প্রেরণ করেছেন আল্লাহ মহান। গোটা পৃথিবীর সব মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ভালো গুণ ও ভালো আখলাকের অধিকারী ছিলেন হজরত মোহাম্মদ [সা.]। নবিজির উম্মত হিসেবে আমাদেরও ভালো গুণ আয়ত্ত করার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা উচিত। ভালো গুণের সম্মিলন ঘটিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই একজন মুসলমানের জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ইসলামী চরিত্রের অন্যতম দিক হচ্ছে দান ও বদান্যতা। আল্লাহ তায়ালা ইনসাফ, বদান্যতা ও দানকারীদের প্রশংসা করেছেন। পবিত্র কোরানে এই মর্মে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাও করবে না। [সুরা বাকারা : ২৬২]
পবিত্র কোরানের কেবল এই একটি মাত্র আয়াতই নয়, আরো অনেক আয়াতে দান ও বদান্যতার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করার আলোচনা হয়েছে। এছাড়া হাদিসের মাঝেও এ বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। এসব আলোচনার দ্বারা দান ও বদান্যতার গুরুত্ব খুব সহজেই অনুধাবন করা সম্ভব। রাসুল [সা.] একটি হাদিসে বর্ণনা করেছেন, যার নিকট অতিরিক্ত বাহন থাকে, সে যেন যার বাহন নেই তাকে তা ব্যবহার করতে দেয়। যার নিকট অতিরিক্ত রসদ রয়েছে সে যেন যার রসদ নেই তাকে তা দিয়ে সাহায্য করে। [মুসলিম]

পবিত্র কোরান ও হাদিসের আলোচনা থেকে দান ও বদান্যতার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত এবং বেশি থেকে বেশি পরিমাণে দান-সাদকা করা উচিত। আশপাশের অভাবী, গরিব-দুঃখী মানুষকে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করা একজন মুসলসানের ইমানি ও নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দান ও বদান্যতার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।