ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ হজ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা বিজয়ের পর থেকে প্রতি হিজরি সনের জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখে সৌদি আরবে মক্কা ও মদিনায় হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে আসছে।
বর্তমানে হজ পালনের জন্য যাতায়াত থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া ও হজের আনুষ্ঠাকিতা পালন অনেকটাই সহজ বিষয়। কিন্তু আজ থেকে কয়েক যুগ আগে হজ পালন ছিলো বেশ কষ্টকর বিষয়। ওই সব কষ্ট স্বীকার করেই সামর্থ্যবানরা হজ পালন করেছেন।
১৯৫৩ সালের হজের কিছু ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইসলামি ওয়েবসাইট ইএলএমফিড.কম।
প্রকাশিত ওই সব ছবিতে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা কিভাবে হজে যেতেন, নামাজ পড়তেন, কোরবানি করতেন, জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করতেন আর মক্কা শরিফ কেমন ছিল।
ছবিগুলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের একটি পুরনো সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দিনে দিনে হজ পালনের স্থানগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন এসেছে স্থাপনাগুলোতেও।
সে সময়ে দূর দেশের হজযাত্রীরা নৌ পথে মক্কা-মদিনায় যেতেন। এ জন্য হজ মৌসুমের অনেক আগেই রওয়ানা দিত হতো। তখন বাণিজ্যিক বিমান পরিবহন ছিল শুরুর পর্যায়ে।
যাদের সামর্থ্য ছিল, তারা আশপাশের দেশ থেকে ছোট ছোট বিমানে করে যেতেন মক্কায়।
হজযাত্রীরা হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে এখনকার মতোই বাসে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতেন।
কাবা শরিফে চারপাশে দেখা যাচ্ছে বাড়িঘর ও হোটেল। পরে পবিত্র কাবা সংলগ্ন মসজিদে হারামের সম্প্রসারণের জন্য এসব ঐতিহাসিক ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
মক্কা শরিফের একটি ব্যস্ত সড়ক। এখানে দেখা যাচ্ছে একটি প্রাচীন মিনার ও রাস্তার পাশের বহুতল ভবন।
মসজিদুল হারামের একটি প্রবেশপথ।
মসজিদুল হারামের প্রবেশপথের বাইরে নামাজরত মুসল্লিদের একাংশ।
পবিত্র কাবা চত্ত্বর ও তওয়াফের এলাকা। তখন মসজিদের হারামে বাড়তি কোনো ফ্লোর ছিলো না। আর পুরো এলাকাটি বুঝানোর জন্য দু’টো ছবি একত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
তখন হাজি ও মুসল্লিরা পবিত্র কাবার ভেতরে প্রবেশ করতে পারতেন।
তওয়াফরত হাজিদের একাংশ। এখনকার মতো ভিড় হাতো না, তাই তাওয়াফ ছিল সহজ।
মসজিদুল হারামের কাছে বাজার ও দোকান।
হাজিদের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতো ঘোড়া আর ঘোড়ার গাড়ি।
হজের অন্যতম আমল কোরবানি করা। তখন হাজিরা নিজের পশু কিনতে পারতেন, ক্রয়কৃত পশু নিজেদের কাছে রাখা যেত।
মিনায় লাকড়ির চুলা ব্যবহার করে হাজিরা নিজেদের রান্না সারছেন। পেছনে মিনার তাঁবু দেখা যাচ্ছে।
পর্বতের পাশে আরাফার ময়দানে টাঙানো কিছু তাঁবু।
জামারাত হিসেবে ছিল ছোট ছোট স্তম্ভ; শয়তানের প্রতীক হিসেবে সেখানে পাথর নিক্ষেপ করছেন হাজিরা।
মাথা মুড়াচ্ছেন এক হাজি।
প্রচণ্ড গরমে হাজিরা কোমল পানীয়ের দোকানে ভিড় করেছেন।